বাংলাদেশের আর্থিক খাত শক্তিশালী করতে আরও ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দুই খাত থেকে দেবে সংস্থাটি। ৩০ কোটি ডলারের ঋণ আসবে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) দীর্ঘমেয়াদী ঋণ স্কেল-আপ উইন্ডো থেকে। আর বাকি ২০ কোটি ডলার আসবে একই প্রোগ্রামের শর্টার ম্যাচুরিটি লোন থেকে।

গত শনিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। ইআরডি আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইআরডি জানিয়েছে, ৫০ কোটি ডলার সমপরিমাণ ঋণের মধ্যে ৩০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের আইডিএ স্কেল-আপ উইন্ডো থেকে গ্রহণ করা হবে। গৃহীতব্য ঋণ চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। জাপানি মুদ্রা ইয়েনে গৃহীতব্য এ ঋণের উপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি প্রদেয় হবে। এ ঋণের সুদের হার হচ্ছে টোকিও ওভারনাইট এভারেজ রেট (টোনা) প্লাস ভেরিয়েবল স্প্রেড।

অবশিষ্ট ২০ কোটি ডলার ঋণ আইডিএর স্কেল-আপ উইন্ডো- শর্টার ম্যাচুরিটি লোন থেকে গ্রহণ করা হবে। ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের জন্য ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। এ ঋণের ওপর কোন সুদ বা অন্য কোন চার্জ পরিশোধ করতে হবে না।

ইআরডি বলছে, গত ২২ জুন বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ‘বাংলাদেশ সেকেন্ড রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৫০ কোটি ডলার (সমপরিমাণ) অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক, ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন। অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা। অর্থ বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো হচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।