ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সামনে আসার পর কিছুটা পাল্টে গেছে মামলার তদন্ত। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিল, তাদের নাম বেরিয়ে আসছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। খুনে সরাসরি জড়িত থাকা আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতার নাম বের হয়ে আসছে।

পুলিশ বলছে, মামলার তদন্তে তেমন কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। এ ঘটনায় নতুন করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। অন্তত ১১ জন রাজনৈতিক নেতার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ সঠিক হলে তাদের তলব করা হবে। তবে এই ১১ নেতা কারা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার আমাদের জানিয়েছেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোনো চাপ নেই। এই মামলার তদন্তকাজ চলবে। আমরা নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করছি। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বা অযথা কাউকে ডাকাডাকি করা হবে না।’ তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে আপাতত দৃষ্টিতে আর কিছু জানার নেই, তিনি সবকিছু জানতে পেরেছেন, তখন তিনি আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠাতে পারেন। তবে আবার যদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেন ওই আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, তখন তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাবেন।’

ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের কলকাতায় যাওয়ার বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ভারতীয় পুলিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ডরিনকে ভারতে যাওয়ার জন্য বলেছে। ডরিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি মনে হয় কয়েক দিন ধরে জ¦রে ভুগছেন। তার স্বাস্থ্য ভালো হলে শিগগিরই ভারত যাবেন।’