দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আজ রবিবার (২৩ জুন) সেই উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মীর এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী নিয়ে হাজির হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ মো. খসরু চৌধুরী।

রাজধানী উত্তরা থেকে লাল রঙের টি-শার্ট ও লাল ক্যাপ পরিহিত এক বিশাল মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ সমাবেশে যোগ দেন খসরু চৌধুরী এমপি।

এসময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ সহ আওয়ামী সহযোগি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী। প্রায় দুই শতাধিক বাসের বিশাল বহর নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসভায় যোগ দেন ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ মো. খসরু চৌধুরী।

সমাবেশে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। আর এই আওয়ামী লীগের জন্যই আজ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করেছে। আইয়ুব খানের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৬-দফা ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয় ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের সর্বস্বের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম এক বাংলাদেশের।
কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন ও যত উন্নয়ন হয়েছে তার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান। জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শকে পূঁজি করেই তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথে। শতভাগ বিদ্যুৎ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্পায়ন, গৃহায়ন, নগরায়ণ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও দারিদ্র্য বিমোচন সহ সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলা করে বদলে গেছে বাংলাদেশের চেহারা। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, রপ্তানিমূখী শিল্পায়ন, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রপ্তানি আয় বাড়ানো, অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রো রেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পের অগ্রগতিতে বদলে গেছে আল বাংলাদেশের চেহারা।

স্বাধীনতার বিপক্ষ শত্রুরা আগেও তৎপর ছিল দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বানচাল করতে। এখনো তারা সজাগ থেকে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই সবাইকে এসব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ থাকার আহ্বান জানান ঢাকা ১৮ সালের সাংসদ খসরু চৌধুরী এমপি।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার