পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রকাশ্যে মাদকসেবন করার বাঁধা দেয়ায় মো: আরিফ হোসেন (১৮) নামের এক ছেলেকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ওই এলাকার শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা দক্ষিন পার্শ্বে বাউন্ডারীর ওয়ালের বাহিরে কাচা রাস্তার ওপর ‘মঞ্জু’র হোটেল মালিকের কর্মচারী মো: শাকিল হোসেন (১৯) প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছিলো।

আরিফ নামের এক ছেলে বাড়ী ফেরার পথে মঞ্জুর কর্মচারী শাকিলকে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের বাধা দিলে শাকিল উত্তেজিত হয়ে আরিফকে মারপিট করে। পরবর্তীতে মঞ্জু ও তার বাবাসহ বেশ কয়েকজন আরিফকে দোকানের কাঠ দিয়ে মারপিট করে ।

অভিযুক্ত শাকিল এর বাড়ী পঞ্চগড়ের টুনিরহাট এলাকায়। মঞ্জু ও রাজুর বাড়ী ওই এলাকার রাজুগছ গ্রামে।

শিলাইকুঠি এলাকার মফিজার রহমান বলেন, মসজিদের নামাজ পড়ে বাড়ী যাচ্ছিলাম, ওই সময়ে দেখি আরিফ নামের এক ছেলেকে কাঠ দিয়ে মারপিট করতেছে। মারামারিটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে হোটেল মালিক মঞ্জু আমার উপর চড়াও হয়ে উঠেন। দুই পক্ষ চরম উত্তেজিত হওয়ার পরে স্থানীয়রা তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অবহিত করেন। পুলিশ আসে ঘটনার বিষয়টি সততা যাচাই করে চলে যান। মাদক সেবনকারীকে খুঁজলে তিনি সেখান থেকে সরিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আরিফ শিলাইকুঠি গ্রামের আমিরুলের ছেলে।

হোটেল মালিক মঞ্জু বলেন, শাকিল ৯ মাস ধরে আমার হোটেলে কাজ করে আসতেছে। সে গাঁজা সেবন করে কথাটি সত্য। শুক্রবার গাঁজা সেবন কালে আরিফ বাধা দিলে তাদের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়। এই সামান্য বিষয় টা বড় আকার ধারন করে। শাকিলকে হোটেল থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে তিনি জানান। প্রয়োজনে হাজির করবেন।

আরিফের বাবা জানান, আমার ছেলে মারপিটের শিকার হয়েছে এটার বিচার চাই।

ভুক্তভোগী আরিফ জানান, শাকিল হোসেন, মঞ্জুর হোটেলে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসতেছে। এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেদের তিনি নষ্ট করতেছেন। প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতেছিলো, বিধায় তাকে বাঁধা প্রদান করে থাকি। বাঁধা প্রদান করতে গিয়ে নিজেই মারপিটের শিকার হই। আমি হোটেল মালিক মঞ্জু ও তার বাবা রাজুর দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার এস আই মানিক কে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অবহিত করার পর আমি সেখানে যায়। মাদক সেবনকারীকে খুজাখুজি করলে তিনি পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ শনিবার রাত ১০ ঘটিকায় মিমাংসার জন্য বসা হলে। উভয় পক্ষের উত্তেজিতের কারণে বিষয়টি আরো বেড়ে যায়। আরিফের বাবা বলেন, যেহেতু বিচার পেলাম না। তাই পুলিশ সুপার বরাবর বিচারের জন্য আবেদন করবো।