দেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেল’স ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মূলত মরুভূমি অঞ্চলের সাপটি এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা যাচ্ছে।

রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেলে আতঙ্কিত না হয়ে ‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’ কে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন টিমের সভাপতি মো. রাজু আহমেদ। শুক্রবার (২১ জুন) ‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’ এর সভাপতি তার ফেসবুক এ পোস্ট করেন ও সেখানে বলেন ‘বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় রাসেল’স ভাইপার সাপ সহ যে কোন সাপ দেখা দিলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আমরা বিনামূল্যে সাপ উদ্ধার করে দিবো।

স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বর:

রেসকিউয়ার রাজু আহমেদ ০১৭৮০৯৩২৭১৭,

রেসকিউয়ার সিদ্দিকুর রহমান রাব্বির ০১৮৪১৫৯৭০০৩,

রেসকিউয়ার সাদ আহমেদ অপু ০১৭৬৫৬৭০২৪১,

ই-মেইল: snakerescueteambd2020@gmail.com রাসেলস ভাইপার সহ যেকোনো সাপ দেখা গেলে স্নেক রেসকিউ টিমকে জানালে বিনামূল্যে সাপ উদ্ধার করে আপনাকে বিপদ মুক্ত করবে।

‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’ এর সভাপতি মো. রাজু আহমেদ বলেন, এ সাপ বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ছিল। তবে রাজশাহীর বরেন্দ্রভূমি দিকে তারা বাস করতো। গত দুই-এক বছরের বন্যায় এটি নদীর পানিতে ভেসে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মূলত পদ্মা নদীকেন্দ্রিক এ সাপ দেখা যাচ্ছে। এরা মূলত নদী দিয়ে চলাচল করে। নদী এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই থাকে। এর বাইরে তারা যায় না।

রাজু আহমেদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য শেয়ার করছে। আসলে পদ্মা নদীর নিকটবর্তী ছাড়া রাসেলস ভাইপার সাপ অন্য কোথাও দেখা যায়নি বা দেখা যাবেও না। আমাদের সংগঠনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০০ রেসকিউয়ার সেচ্ছাসেবী সদস্য রয়েছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ সংরক্ষণ ও মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দেওয়া কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ রাজধানী ঢাকায় আসার সম্ভাবনা নেই। কেননা এই সাপ মূলত পদ্মা নদী কেন্দ্রিক থাকে। তারা পদ্মা নদীর এক-দুই কিলোমিটারের বেশি যায় না। এবং এই সাপ নদী দিয়ে চলাচল করে থাকে। অনেকে ফেসবুকে শেয়ার করছে। রাসেলস ভাইপার ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় দেখা যাচ্ছে। এটা ভুল তথ্য। পদ্মা নদীকেন্দ্রিক রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জসহ নদী ঘেঁষা এসব জেলায় এ সাপ দেখা গেলেও পুরো জেলা পাওয়া যাবে না। শুধু মাত্র পদ্মানদীর এক-দুই কিলোমিটারের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ থাকে।