লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১৮ দিন পর অপহৃত কিশোরীকে (১৪) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এসময় অপহরন মামলায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।। বৃহস্পতিবার রাতে (২০ জুন) কিশোরী ও আসামীদেরকে সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রাম থেকে উদ্ধার ও আটক করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে (২১ জুন) কিশোরীকে ও দুই আসামিকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কিশোরীকে অভিভাবকের জিম্মায় দেন। দুই আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।।

আটককৃতরা হলো,লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চরলামছি গ্রামের সলেমান হায়দারের ছেলে তফিকুল হায়দার দীপন (৪৮) ও একই এলাকার ইদ্রিস হাজীর পুত্র জহির উদ্দিন (৪৭)।

গত ৪ জুন পৌরসভার দক্ষিন দেনায়েতপুর গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে জান্নাতকে সিএনজি করে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায় দুই আসামী। অনেক খোজাখুজির পর কিশোরীকে না পেয়ে তার পিতা গত ২০ জুন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে দীপন ও জহিরকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে (২১ জুন) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন।

এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত দীপনের বিরুদ্ধে গতবছর মালয়শিয়া প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠে। তখন ওই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় সংবাদকর্মী হোসেন চৌধুরীকে মারধর করে ৭ দিন কারা ভোগ করে।

চররুহিতা এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যাক্তি জানান, দীপেন ও জহির ক্ষমতাশীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে সাধারন মানুষের জমি দখল, থানার সোর্স পরিচয়ে নিরিহ মানুষকে হয়রানী, প্রবাসীদের স্ত্রীদেরকে কুপ্রস্তাব দেয়া, মাদক ব্যবসা, টাকার বিনিময়ে সালিশ বানিজ্যসহ নানান অপকর্মে জড়িত।

সদর উপজেলার চররুহিতা ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, দীপন ও জহির খুব খারাপ লোক, এরা দুইজনে আমার পিছনে লেগে থেকে বহুভাবে আমাকে হয়রানি করেছে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার এসআই এরফান বলেন, কিশোরী অপহরণের মামলায় কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন থানায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দীপন ও জহিরকে চররুহিতা গ্রামথেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।