বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা। সাক্ষাৎ শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের দিনে আমরা আমাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা ও সাক্ষাৎ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এখানে কিন্তু আমরা রাজনীতি নিয়ে আলাপ করি না। আমাদের নেত্রীও করেন না। আজকেও তাই হয়েছে।

সোমবার রাত ৮টায় ৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় ‘ফিরোজা’ যান তারা। প্রায় ১ ঘন্টা পর বেন হয় নেতারা।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের মানুষের আজকে যে অর্থনৈতিক অবস্থা। আজকে যে খারাপ অবস্থা, এজন্য সকলে ঈদ আনন্দের সঙ্গে করতে পারেনি। এব্যাপারে আমরা সকলেই কষ্টে আছি। আমাদের নেত্রীও দু:খ প্রকাশ করেছেন। আর দেশের মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (খালেদা জিয়া)।

ভবিষ্যতে মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে যাতে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হয় এবং সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ঈদ এবং জীবন-যাপন করতে পারেনন, এজন্য বেগম খালেদা জিয়ায়া দোয়া করেছেন।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘ঈদের’ শুভেচ্ছা জানাতে আমরা এসেছিলাম। প্রত্যেক ঈদেই আমাদের নেত্রীকে ‘ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে আমরা একত্রিত হই। এবছরও তাই করেছি। আর আমি প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ। আল্লাহ’র রহমতে, আপনার দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দোয়ায় আল্লাহ আমাকে ফেরত পাঠিয়েছেন এবং আপনাদের সামনে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। এজন্য আমি আল্লাহতালার কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করি।

খন্দকার মোশাররফ ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন একটি গরু ও একটি খাসি কোরবানি দিয়েছেন। এছাড়া ফিরোজায় নিকট স্বজনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান। তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।