নিজের জেলাবাসীসহ দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত-মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ঈদুল আযহায় পশু কোরবানি করা হয়, কিন্তু মনের পশুকে কোরবানি করা হয় না। আজও কোথাও না কোথাও ঈদের মাঠে মারামারি হবে। তাই মারামারি বন্ধ করতে গেলে মনের পশুকে আগে কোরবানি দিতে হবে।
তিনি আজ সোমবার সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত আদায় শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বাজার থেকে পশু কিনে এনে কোরবানি দেওয়াতে ঈদুল আজহার তাৎপর্য নির্ভর করে না। মনের পশুত্বকে জবাই করার মাধ্যমে ঈদুল আজহার তাৎপর্য ধরে রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী ।
এদিকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিগবাতুল্লা নূর।
ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত-মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
নামাজ আদায় করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় তারা দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ টেংকেরপার জামে মসজিদ ময়দানে ঈদের দ্বিতীয় বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া পৌর এলাকার পুলিশ লাইনস ঈদগাহ ময়দান, শেরপুর ঈদগাহ ময়দান, গোকর্ণ লঞ্চঘাট ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।