ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় উদযাপিত হলো ঈদ-উল-আজহা। আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর লা’ ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ তাকবির রায়া ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে মসজিদ প্রাঙ্গন। নতুন পোশাকে মসজিদের দিকে ছুটেন মানুষজন। এ যেন আল্লাহর সান্যিধ্যের চিরন্তনরূপ। এ বছর বাংলাদেশ ও মালায়শিয়ায় একইদিনে ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

ইয়াং দি-পার্টুয়ান আগাং, সুলতান ইব্রাহিম এবং রাজা পেরমাইসুরি আগং, রাজা জারিথ সোফিয়াহ দেশের সকল মুসলমানদেরকে ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সূর্য ওঠার আগেই জাতীয় মসজিদ নেগারা ও পুত্রযায়া মসজিদ পুত্রা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে নামাজ পড়তে আসা মালয়েশিয়ানদেও পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন। মালশিয়ান ছেলেরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘বাজু মালায়ু’ পরে সালাত আদায় করতে আসেন।
সোমবার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জাতীয় মসজিদ (নেগারায়) ও পুত্রযায়া মসজিদ পুত্রায় মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শুরুর আগে বয়ান পেশ করেন মসজিদ নেগারার গ্র্যান্ড ইমাম এহসান মোহাম্মদ হোসনি এবং মসজিদ পুত্রায় বয়ান পেশ করেন, পুত্রা মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম, সালাহউদ্দিন হাজী গোজালি।

এদিকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহরে ঈদ-উল- আজহা উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। হাংতোয়া মসজিদ আল বোখারি, মসজিদ জামেক, তিতিওয়াংসা বায়তুল মোকাররাম, কোতারায়া বাংলা মসজিদ, ছুবাংজায়া বাংলা মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, ছুঙ্গাই ভুলু, সেলায়ং পাছার পুচং, মালাক্কা, জহোরবারুতেও ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিদেশে থাকলেও তাদের মন পড়ে আছে বাংলাদেশে।
তাদের কাছে ঈদ মানে বিদেশে বসে দেশের স্মৃতিচারণা। নামাজ শেষে ঈদ সেলফির পাশাপাশি মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা।