কক্সবাজারের উখিয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান এইডের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি ( বিজিএস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নে জেন্ডার ইন ইনক্লুসিভ পাথওয়েজ আউট অব পোভার্টি ফর ভালনার‍্যাবল হাউসহোল্ড (জিপপ) কর্মসূচির প্রকল্প সমাপ্তি করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এরিয়া প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার রোনাল্ড প্রবীর চিশিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিপপ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ আলী। জিপপ প্রকল্পের অগ্রগতি ও সুবিধা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন ম্যানেজার বেনজিম চাকমা।

ইউপিজি অফিসার হাসনা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন , উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সৈয়দ হোসাইন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল্লাহ, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুল কবির, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার খুরশিদা বেগম, জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, ধর্মীয় নেতা মতিউর রহমান মোজাহিদ প্রমুখ।

সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা অস্ট্রেলিয়ান এইডের অর্থায়নে বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি ( বিজিএস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথ ভাবে জিপপ কর্মসূচির মাধ্যমে উখিয়ার ৪ টি ইউনিয়নে ১৪৪০ টি অতি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ প্রদান, কারিগরি সহযোগিতা ও আর্থিক সহয়তার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে জীবন মান উন্নয়ন করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, কৃষিবিদ সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও উপকারভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জিপপ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ আলী জানান, জিপপ কর্মসূচির আওতায় উখিয়া উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে রাজা পালং, জালিয়া পালং, হলদিয়া পালং ও রত্না পালং ইউনিয়নের অতি দরিদ্র পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে ১৪৪০ পরিবার ও এসব পরিবারের শিশুসহ মোট ৭৯৩৫ জন জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করা হয়েছ । এ সব পরিবার সমূহ কে উন্নত জাতের হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু , মৎস্য চাষ, বসত বাড়ির আঙ্গিনায় শাক সবজি উৎপাদনে প্রশিক্ষণ প্রদান, সমবায় গঠনের মাধ্যমে সঞ্চয় বাড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তিগত কৌশলসমূহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উল্লেখ্য জিপপ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়, তা আগামী ৩০ জুন ২০২৪ সালে শেষ হবে।