মালয়েশিয়া জোহর প্রদেশ ইমিগ্রেশন বিভাগ কর্তৃক শ্রমিকদের বসতিতে অভিযান চালিয়ে ২১৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মাঝে প্রথম অভিযানে ৫৩ জন এবং ২য় অভিযানে ৭০ জন সহ মোট ১২৩ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক রয়েছে। মালয়েশিয়ার পন্টিয়ান: কাম্পুং বেলোকক এবং জোহর বারুতে জালান লিংকারান দালামের কাছে ২ টি পৃথকস্থানে শ্রমিকদের বসতিতে অভিযান চালানোর সময় জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের গ্রেপ্তার করে।
ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক ত্বহা বলেন, শনিবার (৮ জুন) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ১৪০ জন কর্মকর্তা কর্মীরা এ অভিযান চালান। তিনি আরও বলেন, কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য স্থানীয় মালয়েশিয়ান দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোট ২৫২ জনের বৈধতা চেক করা হয়েছিল, এবং তাদের মধ্যে ৯২ জনকে বিভিন্ন অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৬(১)(খ) এর অধীনে একজন ৬২ অপরজন ৩৫ বছর বয়সী স্থানীয় ২ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১ম অভিযানে আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে ৫৩ জন, চীনের ৩০ জন, ভারতের চারজন, ইন্দোনেশিয়ার চারজন, পাকিস্তানের একজন পুরুষ রয়েছে।
জাফরি বলেন, দ্বিতীয় অভিযানটি ভোর ৩.২০ মিনিটে ডাঙ্গা সিটি মলের কাছে শ্রমিকদের বসতিতে চালানো হয়। এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক জড়িত। মোট ৭২৫ জনকে চেক করার পর এর মধ্যে থেকে ১২২ জনকে বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অভিযানে বাংলাদেশের ৭০ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩১ জন, মিয়ানমার থেকে ২০ জন এবং পাকিস্তানের একজন নাগরিক কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বাংলাদেশী (ইউএনএইচসিআর) এর কার্ড শো করে নিজেকে রোহিঙ্গা শরনার্থী দাবি করে। পরে জানা যায় সে রোহিঙ্গা নয় সে বাংলাদেশী। গ্রেপ্তারকৃত সবাইকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জোহর বারুর সেতিয়া ট্রপিকার বিভাগের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়া দেশে প্রবেশ করা এবং অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬(গ) এবং ধারা ১৫(১)(গ) এর অধীনে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।