একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায়। তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। নিজে এখানকার একটি মার্কেটে রেস্তোরা পরিচালনা করেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি হন আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার এলাকার একটি হাসপাতালে। আর এই হাসপাতালের কেবিনেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। অভিযুক্তের নাম সাকিব আসলাম (৩২)। তিনি আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। এঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক।
রোববার (৪ জুন) রাতে আশুলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার থেকে উপরের বিষয়টি জানা যায়। এছাড়া, সোমবার (৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিলন ফকির গণমাধ্যমকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর শরীরে মারধরের জখম পাওয়া গেছে। এর আগেও আসামি সাকিবের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। গতকাল (রোববার) রাতে আসামি সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। আসামি সাকিব পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে’।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, দুই বছর আগে তার রেস্তোরায় আসা-যাওয়ার সুবাদে অভিযুক্ত সাকিব আসলামের সাথে তার পরিচয়। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাকিব। তিনি নিজের স্বামী-সন্তান আছে জানালেও তাদেরকে ছেড়ে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে চাপ দেয় অভিযুক্ত। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে খারাপ প্রস্তাব দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে থাকে সে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে, তিনি আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে, গত ২ জুন রাতে আসামি সাকিব ওই হাসপাতালে গিয়ে তার কেবিনে প্রবেশ করে দরজা আটকে দেয়। এমন অসুস্থ অবস্থায়ও ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টা করে সাকিব। এসময় তিনি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে জখম করে। তখন তার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
বার্তাবাজার/রাআ