মাদারীপুরে এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুলাল কীর্তনিয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রীর বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীদের বাধা দেওয়ায় দুলাল কীর্তনীয়া সহ তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করা হয়। সোমবার (৩ জুন) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় বাড্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুলাল কীর্তনিয়া বাদী হয়ে একই দিন তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ০৪/০৫ জনকে অভিযুক্ত করে মাদারীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার (৫ জুন) এ বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার রুবাই ফকিরের ছেলে তৈয়ব আলী ফকির(৫৫), সুমন ফকির(২৬) ও সিরাজ মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা। এবং আহতরা হলেন- দুলাল কির্তনিয়া(৩৬), অর্চনা রানী মন্ডল (৪৫)। তারা স্থানীয় বাজার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কাঠমিস্ত্রী দুলাল কির্তনিয়ার থানায় করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, অভিযুক্ত তৈয়ব আলী ফকিরের সাথে তাদের বিগত ছয় মাস যাবত বসতবাড়ির সিমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের ক্রয়কৃত জমি জোর পূর্বক দখলসহ হাঙ্গামা সৃষ্টি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৩/০৬/২৪ ইং তারিখ সকালে জোরপূর্বক সীমানার খুটি স্থাপন করতে আসেন অভিযুক্তরা। তখন ভুক্তভোগী দুলাল বাধা প্রদান করলে তাকে ইট ও কাঠের বাতা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এসময় তাদের সনাতন ধর্মের মূর্তি রাখার ঘর এর আসবাবপত্র সহ মূর্তি ভাঙচুর করিয়া নগদ অর্থ সহ স্বর্ণ, মোবাইল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আহত অর্চনা রানী মন্ডল বলেন, আমি ওদের প্রতিবেশী দুজনকে ছাড়াতে গেলে আমাকেও পিটিয়ে আহত করে তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে সুমন ফকির।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তৈয়ব আলী ফকির ও রাজ্জাক মোল্লার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম সালাউদ্দিন জানান, এধরনের একটি অভিযোগ আমাদের কাছে জমা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।