মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন, ২৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চার দিনে ২০ হাজারও বেশি বিদেশি শ্রমিক আসায় বিমানবন্দরে চাপ সৃষ্টি হয়। যাদের ভিসা এপ্রোভালের অনুমোদন এক বছর আগে দেওয়া হয়েছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রাপ্তি এবং ফ্লাইট টিকিটের ব্যবস্থা করতে তাদের এত সময় লাগার কথা না। তাই আটকে পড়া বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য নতুন করে সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) পেনাং টুন আহমেদ ফুজির ইয়াং দিপারতুয়া নেগেরিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং এ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এর আগে, বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের দেশে নিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার, যা ৩১ মে শেষ হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারের এই প্রত্যাখ্যানের ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গেলে ১৭ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন জানান, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২.৬ মিলিয়নেরও বেশি বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করেছে। আর তাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের (ইপিইউ) লক্ষ্যমাত্রা ২.৫ মিলিয়ন বিদেশি কর্মী।
এ ছাড়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে উল্টো প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো তবে তা ৩১ মের আগে করা উচিত ছিল। এখন সময় বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।