বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে একপক্ষীয়ভাবে জজ কোর্টে মামলাধীন বিরোধপূর্ণ জায়গা দখল করিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খতিয়ানভুক্ত ২ একর ১০ শতক জায়গার মালিক ফাইতং ইউপির বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান। বায়না নামা মূলে দ্বিমুখী মালিকানা জটিলতা নিরসনে জজ কোর্টে মামলাধীন। জটিলতা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই বিরোধপূর্ণ জায়গা ব্যক্তিগত প্রভাব খাঁটিয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সার্ভেয়ার কর্তৃক এক পক্ষীয় দখলে নিতে অনুমতি দেয়। একই সাথে উক্ত জায়গার ২০ শতক জমি চেয়ারম্যান নিজের দখলে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলেন, এরাতো সবাই এক ঘরের লোক। তবে কার জায়গা কে কিভাবে দখল করেছে সে বিষয়ে আমি অবগত না। ২০ শতক নিজে দখলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আমি শামসুদ্দীনের ছেলে আক্তার থেকে লীজে নিয়ে ঘাস চাষ করছি।

এদিকে জমির বায়না নামা মূলে মালিক জাফর আলম কোম্পানি বলেন, আমার চাচা মাহবুবুর রহমান থেকে বায়না নামা দলিল ৬২৭/২০২২ মূলে ২ একর ১০ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হঠাৎ দখলে নিয়েছে চেয়ারম্যান সিন্ডিকেট।

চেয়ারম্যান কর্তৃক দখলে নেওয়া অভিযুক্ত শাহেনা আক্তার বলেন, আমাদের পরিবারে কোন পুরুষ না থাকায় নিজেদের ক্রয়কৃত জায়গা নিয়ে শামসুদ্দিন ও মাসুক গংদের চরম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। পরে ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে এই জায়গার উপর ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি।

খতিয়ান ভুক্ত জমির মালিক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার নামীয় খতিয়ান ভুক্ত জায়গা থেকে ২ একর ১০ শতক জমি জাফর আলম কোম্পানি নামে বায়না নামা মূলে রেজিস্ট্রি দিয়েছি। যা ভূমিদস্যদের সাথে জজকোর্টে মামলাধীন। হঠাৎ শুনলাম চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় শামসুদ্দিন ও মাসুক গং দখল করে নিয়েছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিম শেখ বলেন, এবিষয়ে লিখিত আকারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।