পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের দেশত্যাগ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার বিষয়টি জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বেনজির আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা সেটা আদালত দেখবেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি যে কেউ করে বসতে পারে। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু সে বিষয়ে সরকার নির্বিকার কিনা এটাই দেখার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সব খবর আছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুর নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনের নির্দেশে চলতো সারাদেশের দুর্নীতি। তারা কি তাদের লুটপাটের আমলে কাউকে শাস্তি দিয়েছে?

নির্বাচনের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছে। ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারা এক প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছে। আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নির্বাচন করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থা বিএনপি তামাশায় পরিণত করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। তিনি আরও বলেন, আজকে গণতন্ত্রের জন্য কঙ্গো, হাইতি, রুয়ান্ডাকে জবাবদিহি করতে হয় না, প্রশ্ন করে না। আমরা নির্বাচন নিয়মিত করে আসছি। পারফেক্ট ডেমোক্রেসি কোথাও নেই। তবে পারফেক্ট হওয়ার কাছাকাছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক, এটি আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যারা নিজেদের গণতন্ত্র মানবাধিকারের প্রবক্তা বলে দাবি করেন, রাফায় একটা অফেনসিভে ৪৫ জনকে একদিনের মেরে ফেলা হয়েছে। সারা দুনিয়া, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও কনডেম করল। সেখানে যদি মানবতার প্রবক্তাদের থেকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, রাফায় এখনো রেডলাইন অতিক্রম করেনি, তা হলে মানবাধিকার কোথায়?


বার্তা বাজার/এইচএসএস