নীলফামারীর ডিমলায় কালবৈশাখীর প্রলয়ংকারী ঝড়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও উপজেলায় অন্তত ৮টি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি, গাছপালা, যানবাহন, বৈদ্যুতিক খুঁটি, দোকানপাট, উপাস্যনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিমলা উপজেলায় আঘাত হানে।
উপজেলার দক্ষিণ গয়াবাড়ী এলাকায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ঘর উড়ে গিয়ে পরে মনসুর আলী একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। প্রলয়ংকারী এই ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু আহত হয়েছেন।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ডালিয়া, ছোটখাতা, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চাপানী, ছাতুনাম, গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী, দক্ষিণ গয়াবাড়ী ও নাউতারা ইউনিয়নের নাউতারা, লক্ষী বাজার, কাঁকড়া বাজার ও শালহাটি গ্রামে। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই এলাকার অধিকাংশ পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ গয়াবাড়ী গ্রামের সুবাস রায় জানান, মাত্র ৬ মাস আগে ঘর নির্মাণ করেছি। সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঝড় আমার পুরো ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।
একই অবস্থা দক্ষিণ গয়াবাড়ী কালিহাটিপাড়া গ্রামের সুধির বাবু, মনছুর আলী, আশরাফুল ও জিকরুল ইসলামের।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালাম।
প্রতিটি ইউনিয়নের স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা ইতিমধ্যে রাস্তার গাছ অপসরণে কাজ করছে। তাদের কাছে ক্ষতি গ্রস্তেদর নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বার্তা বাজার/এইচএসএস