আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটগ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসলেও সাধারণ ভোটাররা রয়েছেন নীরবে। আগের মতো ভোটের আমেজ নেই ভোটারদের মাঝে। তবে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন প্রার্থীরা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এ কে এম জাহিদুল হাসান, খান বেলায়েত হোসেন, শেখ দেলোয়ার হোসেন, এস এম মিজানুর রহমান, শেখ তাহিদুর রহমান মুক্ত, কাজী মনিরুল হক, আবুল খায়ের খান বুরুজ, শেখ আব্দুর রহমান জিকো ও আহসান উদ্দৌলা রানা। চেয়ারম্যান পদে সব প্রার্থীই আওয়ামী ঘরানার। যার কারণে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- খান আমিরুল ইসলাম, কাজী শহিদুল ইসলাম সজল, ইয়াছিন মোল্যা, তৌকির আহমেদ ডালিম, হুমায়ুন মোল্যা, মোমিনুর রহমান সবুজ ও মুরাদ হোসেন।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ নারী কোমর বেঁধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। তারা হলেন, লায়লা পারভীন, শারমিন আফরোজ সুমি, আছিয়া খানম মৌসুমি, মনোয়ারা ছালাম, বিউটি বেগম, রিনিয়া বেগম, বিউটি বেগম ও দিপালী রায়।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ভোটের মাঠে মোটরসাইকেল শোডাউন আর মাইক দ্বারা প্রচার করছেন। সাঁটিয়েছেন পোস্টারও। করছেন উঠান-বৈঠক ও পথসভা। বিরামহীনভাবে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন তারা। তবে প্রার্থীরা নানাভাবে তৎপর থাকলেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ভোটারদের। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়েও চরম অনীহা প্রকাশ করছেন কিছু সাধারণ ভোটার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রার্থীদের। ভোটার সমাগম নিয়ে ঘাম ঝরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানালেন একাধিক প্রার্থী।
ভোটাররা জানান, ইতিপূর্বে দেশে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো থেকে ভোটার উপস্থিতি ক্রমশই কমেছে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ উপজেলায় হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় ৪০টি ভোটকেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে ৫৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা নীরব থাকার কারণ জানতে উপজেলার কয়েকজন প্রবীণ ভোটারের সাথে কথা হয়। তারা জানান, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। সবাই-ই কমবেশি এলাকায় পরিচিত। এমনকি দুইটি ইউনিয়নে একাধিক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন। তাই সাধারণ ভোটাররা কার পক্ষ নিয়ে কাজ করবেন এইটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে পড়েছেন। এরসঙ্গে আরেকটি কারণ যুক্ত হয়েছে চলতি ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত নীরব রয়েছেন কৃষক ভোটাররা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
বার্তা বাজার/এইচএসএস