নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং এলাকার জনগণনের চাহিদা বিবেচনায় নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। রোববার (৪ জুন) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ১০টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কে কী বলেছেন সেটা মুখ্য বিষয় ছিল না। নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং এলাকার ভোটার ও স্থানীয় জনগণ কী চান সেই বিষয়।
তিনি বলেন, ইসির লক্ষ্য ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা যত কম সম্ভব পরিবর্তন করা। কিন্তু আইনে বলা আছে খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য ইসি খসড়া প্রকাশ করে। এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে ইসি আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মো. আলমগীর আরও বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে ভোটারদের বক্তব্য ইসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের সবাইকে ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলায় যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমান সংসদ সদস্যদের বক্তব্য ইসি শুনেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন। আইনে আছে ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও না। জনসংখ্যা আমলে নিতে গেলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে।
বার্তা বাজার/জে আই