রাত পোহালেই তৃতীয় ধাপে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বৈরী আবহাওয়ার কারনে সেন্টমার্টিন ব্যাতিত সকল কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌছেছে। ৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ২৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ করতে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৬ প্লাটুন বিজিবি, ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে।

আইনশৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানাগেছে, নির্বাচনে ৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্র গুলো হলো- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঞ্জর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খারাংখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঙ্গীখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা, নাইক্যংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হ্নীলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেঙ্গুরবিল এমদাদিয়া মাদ্রাসা, লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়, বড় হাবিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। টেকনাফ পৌরসভার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, টেকনাফ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল হোছাইনিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাবনিয়া ও কচুবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর শীলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াখালী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ‘বার্তা বাজার’কে জানান, টেকনাফ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯০ হাজার ৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৮৭ হাজার ৫৬৩ জন। ৬০টি কেন্দ্রে উপজেলার ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়ার কারনে সেন্টমার্টিনে ভোট গ্রহনের কোন সরঞ্জাম পাঠানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে রাত্রে বা আগামীকাল ভোরে কোস্টগার্ডের সহায়তায় সরঞ্জাম পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। পাঠানো সম্ভব না হলে সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

এবারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম (টেলিফোন), সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ (আনারস) ও তার ছেলে দিদার মিয়া (মোটর সাইকেল)। তবে দিদার মিয়া বাবার পক্ষে কাজ করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন (মাইক), সরওয়ার আলম (টিউবওয়েল), আবু সিদ্দিক (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার (পদ্মফুল), গোলাপজান আক্তার (কলসি), মরজিনা আক্তার (ফুটবল) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।