কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে রেজিয়া খাতুন (৪৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এসপি উত্তম প্রসাদ পাঠক।
নিহত রেজিয়া খাতুন জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের মৃত এনামুল হকের স্ত্রী। আর গ্রেপ্তারকৃত হলেন- একই উপজেলার মালগাঁও গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও কানাড়ী গ্রামের মৃত ধনীনুল্লার ছেলে এনতাজুল (৪৪)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সোমবার (২৭ মে) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ী গ্রামে জাহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুনের মরদেহ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরে নিহতের ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে রেজিয়া খাতুনের মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পর আসামি দেলোয়ার হোসেন ও এনতাজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, রেজিয়া খাতুনকে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোছা. লিজা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ প্রমুখ।