১ জুন জেলা প্রশাসন ও পটুয়াখালী জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলেও পরে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করার কথা থাকলেও করেনি জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস।

বিদ্যালয় দুটি হলো মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪৪ নং শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৪ জুন রবিবার বিদ্যালয় দুইটির প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুস্মিতা জানান,গত ১ জুন দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে তাদের বিদ্যালয়ে কোন প্রকার টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করতে আসেনি কেউ।

শেখ মোঃ সাইফুদ্দিন নামে ৩য় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী জানান, গত বৃহস্পতিবার আমরা ক্লাসেই উপস্থিত ছিলাম কিন্তু কেউ আমাদের টিশার্ট ও দুগ্ধ দিতে আসেনি। যদি আসতো তবে তো আমার পেতাম কিন্তু কেউই আসেনি।

মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন জানান, ১লা জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করা হবে সেটা আপনাদের থেকেই জনলাম। জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ আমাদের জানায়নি। আর ১ জুন বৃহস্পতিবার আমি বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্কুলেই ছিলাম প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে কেউই আসেনি আমাদের স্কুলে।

৪৪ নং শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইনচার্জ শাহ আলম জানান, শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করা হবে সেটা আমাদের জানায়নি জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এমনকি তারা ১ জুন স্কুলেও আসেনি কেউ।

পটুয়াখালী জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস জানান, ১ জুন র‍্যালি ও আলোচনা সভা শেষ করতেই তিনটা বেজে গেছে তারপর আর ঐ দুই স্কুলের শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করা হয়নি। তারপর শুক্রবার ও শনিবার সরকারি বন্ধ থাকায় অনুষ্ঠানটি করা হয়নি। তবে রবিবার কেন শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ছেলে অসুস্থ থাকায় অফিসে আসতে পারিনি তাই অনুষ্ঠানের বাকী অংশ করতে পারিনি। তবে আগামীকাল সোমবার ঐ দুই স্কুলে শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ বিতরণ করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) শেখ আবদুল্লাহ সাদিদ জানান, কি কারনে দুগ্ধ দিবসের দিনে শিশুদের টিশার্ট ও দুগ্ধ দেয়া হয়নি সেটা আমার জানানেই। তবে যে দিনের প্রোগ্রাম সেদিনই দেয়া উচিত ছিলো তার।

বার্তা বাজার/রাআ