কক্সবাজারে অবহাওয়া দপ্তরের একমাত্র ডপলার রাডার স্টেশনটি ১০ মাস ধরে অকেজো হয়ে গেছে।পাওয়া যাচ্ছেনা গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের কোন আগাম তথ্য। ফলে এই দূর্যোগে বেশী বিপাকে রয়েছে দেশের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।

কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১৬০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় প্রায় ৯৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর রাডারটি অবস্থিত।

অবহাওয়া দপ্তরের সূত্রমতে, ১৯৬৯ সালে সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে ২২ এপ্রিল জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাডার সিস্টেমটি আধুনিকায়ন করা হয়। রাডার স্টেশনটি ৪০০ বর্গ কি.মি. এর মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এ রাডারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ভি সেটের মাধ্যমে সাথে সাথে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানতে পারে।

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান ‘বার্তা বাজার’কে বলেন, সাধারণত একটি রাডার সর্বোচ্চ বারো বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। এটি প্রায় ১৭ বছর সচল থাকার পর গেলো বছরের ৪ আগষ্ট সম্পূর্ণ ভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে। দেশের বাজারে এই রাডারের যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছেনা তাই এটিকে আর সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিদেশ থেকে যন্ত্রাসংশ এনে খুব তাড়াতাড়ি এটিকে সচল করার কার্যক্রম চলছে।

কক্সবাজার উপকূলের দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দাদের দাবী রাডারের কারনে যেনো আগাম তথ্যের অভাবে আরেকটি ৯১ এর মতো হাজার হাজার মানুষের প্রানহানির ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

বার্তা বাজার/এইচএসএস