গ্রামে সবাই তাকে চিনে ‘চাপাতি আশিক’। ফেইসবুক আইডিতে নাম ‘এক্স আশিক’। আর বাবা মায়ের দেয়া নাম ‘আশিক মিয়া’(৩০)। চাঁদাবাজি. সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও কিশোর গ্যাং পরিচালনা করাই তার কাজ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এরপরও নিজের ব্যবহৃত চাপাতি নিয়মিত ধার দিয়ে তার ছবি নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গি দেখিয়ে। এ ধরনের বেশ কয়েকটি ছবি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, আশিক মিয়া ওরফে আর এক্স আশিক বা চাপাতি আশিক হচ্ছে চরআলগি গ্রামের মৃত শামছুল আলমের ছেলে। তার বিভিন্ন অপকর্মের কারনে অল্প দিনের মধ্যে এলাকায় সে ভয়ংঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়। উঠতি বয়সের কিশোরদের নিয়ে গড়ে তুলে গ্যাং পার্টি। পান থেকে চুন কসলেই নানাবিধ বিবাধে জড়িয়ে মূহুর্তেই দা লাঠি, রামদা ছাড়াও চাইনিজ চাপাতি তার দলের কিশোরদের হাতে হাতে দেখা যায়। সাধারন মানুষ তাদের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে সব সময়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্ধবাধে কয়েকজন ইউপি সদস্যের। এ নিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। পরে আবুল বাশার নামে এক ইউপি সদস্যকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। পরে জানা যায় এই গ্যাংয়ের নেতৃত্বে ছিল এই আশিক মিয়া। থানায় মামলা হলেও সে থাকে ধরাছোয়ার বাইরে। অন্যদিকে গত বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয় উচাখিলা বাজারে প্রকাশ্যে দা , লাঠি ও চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয় এই আশিকের দল। এই দৃশ্য অনেকেই মোবাইলে ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্টও করে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল কিশোর গ্যাং দলের ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করে আরও একটি মামলা হয়। এরপরই ব্যাপক আলোচনায় আসে আশিক। সেই সাথে আলোচনা হয় সম্প্রতি চাপাতিসহ নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট দেওয়া ছবি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আশিক বলেন, মনের খুশিতে পোষ্ট দিয়েছিলাম। পরে ডিলেট করছি। চাপাতি পোষ্ট দিলেন কেন জানতে চাইলে আশিক বলেন,‘আমার অনেক শত্রু আছে তো তাদের ভয় দেখানোর জন্য।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈম্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ জনকে ধরে কোর্টে প্রেরণ করেছি। তাদের ম্বীকারোক্তিতে আশিকের নাম বেড়িয়ে আসে। তাকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার/জে আই