৪র্থ ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় শিশু ও ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে জনসভা করা ও মাইকে ঘোষণা দিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসূফ আলীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, শুক্রবার (২৪ মে) ঝাঐল ইউনিয়নের মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিশাল জনসভার আয়োজন করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসূফ। জনসভা শেষে মাইকে ঘোষণা করে বলেন, “আপনারা যারা যারা এসেছেন, সকলের দলনেতার কাছে আপনাদের সম্মানী দেওয়া হবে। আপনারা অপেক্ষা করেন”।

শুধু এতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। বাদ মাগরীব পাইকোশা বাজারে নির্বাচনী অফিসে মাইকে ডেকে ডেকে দলনেতাদের কাছে কে কতজন লোক এনেছেন, সেটার ভিডিও দেখে দেখে তার কর্মী সমর্থকরা টাকা প্রদান করেন। আবার, চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিয়ে তার থেকে কম টাকাও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অনেকে টাকা না পেয়ে, তার বাড়ির সামনে রাত ৯ টা নাগাদ ভির জমান। শুরু হয় হট্টগোল। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেও প্রার্থীর দেখা মেলেনা লোকজনদের। বেশ কিছুক্ষণ তার বাড়ির সামনে হই হুল্লুর শুরু হয়ে যায়। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে গেট ম্যানকে ধাক্কা দিয়ে বেশকিছু মানুষ বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন।

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের মোটর সাইকেল যোগে কর্মী আনতে বলেছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন ১০ হাজার টাকা দিবেন। এখন আমাদের সাথে তিনি দেখাই করছেন না।

চড়কুড়া গ্রামের মেহেদী বলেন, চেয়ারম্যান নিজে গত রাত্রে কল করে লোকজন নিয়ে আসতে বলেছেন। তিনি ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। এখন জনসভা ও মিছিল শেষ, আমাদের টাকাই দিচ্ছেনা।

নিজ বাড়িতে টাকা দেওয়া নেওয়া নিয়ে হট্টগোল চলাকালীন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসূফ আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে টাকার বিনিময়ে এখানে নিয়ে আসেনি। সবাই আমাকে ভালোবেসে এসেছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, জনসম্মুখে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সতত্যা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসূফ আলীর নির্বাচনী হলফনামা ঘেটে দেখা যায়, তার নামে ১০ টি মামলা রয়েছে। যেগুলো ৪২০ ধারার প্রতারণার মামলা। তবে তিনি নিষ্পত্তি হয়ে আছেন।

বার্তা বাজার/এইচএসএস