পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল মার্কার ক্যাম্পেইন যেতে ও ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মৎস্য বিভাগের সরকারি বরাদ্দের গরু উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার কেড়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে মৎস্য অফিসের দেওয়া গরুটি কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে একজন প্রান্তিক জেলে ও ভোটারের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দের গরু কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বশির খান অসচ্ছল জেলে তালিকায় নাম থাকায় তাকে সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে একটি গরু দেয় উপজেলা মৎস্য বিভাগ। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে গরুটি দেওয়া হয়। গরু নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার মোবাইল ফোনে তার পক্ষে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তার (উপজেলা চেয়ারম্যান)অনুগত কর্মীরা গরুটি কেড়ে নেয়।
জেলে বশির খানের অভিযোগ, গরুর বিনিময়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার তার মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গরুটি ফেরত চাইলে উপজেলায় গিয়ে গরুটি ফেরত দিয়ে আসেন। গরুটি এখন উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদার বলেন, অভিযোগটি শতভাগ মিথ্যা। আমি তাকে মৎস্য বিভাগ থেকে একটা গরু দিয়েছি। সে কিছু করে খাক এবং তাকে আমার ক্যাম্পেইন করতে রিকোয়েস্টও করেছি। তখনও সে বলেছে, এখনো কারো সাথে নামে নাই। তবে নামবে। এর বেশি কিছু হয়নি।
গরু ফেরত নেওয়ার প্রশ্ন সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, গরু কি তার, যে সে তাকে ফেরত দেবে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে সেই গরুটি কেন? এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের ফিল্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি বরাদ্দে বশির খান নামের এক জেলেকে একটি বকনা গরু দেওয়া হয়েছে। তিনি গরুটি রিসিভ করে নিয়েও গেছেন। পরে শুনেছি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে ফেরত দিয়েছেন। তবে, কেন ফেরত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছুই জানি না।