গাজা যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ফিলিস্তিনি হতাহত নিয়ে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। ফলে দেশটি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে এবার যেন সে আশঙ্কাটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো ইউরোপের তিন দেশ: স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।

বুধবার (২২ মে) ফিলিস্তিনকে একটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এমনকি দেশগুলো থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিতেও বলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশগুলো থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। তবে কি বিশ্ব থেকে ইসরায়েল ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে—এমন প্রশ্নই সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকে এ প্রশ্নের জবাব খুঁজব আমারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় তিন দেশের এমন সিদ্ধান্তকে ‘জঘন্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ গাজা বা অধিকৃত পশ্চিম তীরের ধ্বংসাবস্থা ঠেকাতে সামান্যই ভূমিকা রাখবে। কেননা, পশ্চিম তীরে তারল্য সংকটে ভোগা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বেসামরিক কর্মচারীদের বেতন দিতেই হিমশিম খাচ্ছে।

গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো ওয়াশিংটন। এর আগে দেশটির বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো একাধিক দেশ। এরপর সাম্প্রতিক দিনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে করে দেশটি বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের এমন আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় তিন দেশ। ২৮ মে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে তারা।

বার্তা বাজার/এইচএসএস