কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্মিত হবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার।
বুধবার দুপুরের দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেইসবুক পেজে অনুমোদিত শহীদ মিনারের একটি নকশার ছবি পোষ্টের সাথে সাথে ভাইরাল হয় শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি ।
এর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানাতে শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট মুহুর্তে উপজেলাবাসীর নজরে চলে আসে শহীদ মিনার নির্মাণের খবর।
উপজেলা প্রশাসন দৌলতপুর কুষ্টিয়া নামের ওই ফেইসবুক পেজে লেখা হয়, দৌলতপুরে যোগদানের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুধীজন অনেকেই বলেছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে, প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে, ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমরা কাজ শুরু করবো।
শহীদ মিনার নির্মাণ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো দৌলতপুর উপজেলায় একটি নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। এবার এর অনুমোদন নিতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এটা খুবি খুশির খবর ও আনন্দের। এসময় ওই কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই সাংবাদিক নেতা।
এবিষয়ে দৌলতপুর শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক সরকার আমিরুল ইসলাম বলেন, একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিলো দৌলতপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। যা ইতোমধ্যে একটি নকশা সম্পন্ন হয়েছে ও প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। এ জন্য দৌলতপুর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ওবায়দুল্লাহ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুধীজন অনেকেই বলেছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে। আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছিলাম যার অনুমতি পেয়েছি। উপজেলা নির্বাচনের পর খুব দ্রুত এটি দৃশ্যমান হবে।
তিনি আরো বলেন, এখনো এর নির্মান ব্যায় নির্ধারণ করা হয়নি তবে প্রাথমিক ভাবে এটি দৌলতপুর উপজেলা চত্বরের সৃতি সৌধের পাশে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসময় দৌলতপুর উপজেলাবাসীকে এমন একটি উপহার দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।
বার্তা বাজার/এইচএসএস