বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের কথা বলে। ষড়যন্ত্র কারা করে জাতি তা জানে। ১৫ আগষ্টও ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ করেছিলো। আর এই ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক। একুশে আগস্টও ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।
ষড়যন্ত্র না হলে পূর্বনির্ধারিত মুক্তাঙ্গনের জনসভা হঠাৎ পরিবর্তন কেন আপনারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলেন। সেই ষড়যন্ত্রের সাথে আওয়ামী লীগের কারা জড়িত ছিল। ৩০ মে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কোথায় ছিলেন, জাতি তা জানতে চায়। ১/১১ সময় গণতন্ত্র হরণকারী সেনা সমর্থিত সরকারের সাথে ষড়যন্ত্র করেই এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিলো।
আজ মঙ্গলবার বিকালে কারাবন্দী কামরাঙ্গীচর থানা ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রুসুল শামীমের বাসভবনে পরিবারের সদস্যের সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। প্রভুরাষ্ট্রের দাসত্বে বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বিএনপি যদি আপোষ করতো তাহলে অনেক আগেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতো। বিএনপি কারো সাথে আপোষ করে না, আপোষ করে জনগণের সাথে। জনগণই আমাদের শক্তি। জনগণকে নিয়েই আমরা এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, কামরাঙ্গীচর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী রফিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের আহবায়ক কামাল হোসেন, ৫৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদুল হক, ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি শাহাজাহান সেলিম, কামরাঙ্গীচর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আরমান, কামরাঙ্গীচর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদুল্লাহসহ প্রমূখ।
বার্তা বাজার/এইচএসএস