ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, গুম, খুন, মানবধিকার লঙ্ঘনসহ মানুষের ভোটাধিকার হরণের ঘটনায় সরকার বিশ্বব্যাপী ধিকৃত হচ্ছে।

আজ (১৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমাহসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা ও জেল হাজতে প্রেরণসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি গ্রহনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, সরকারের ভয়াবহ লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। এখন সরকারের মন্ত্রীরা দেশের এই টালমাটাল অবস্থা আড়াল করতে বিরোধী দলের সমালোচনাকে গুজব বলে মন্তব্য করছে। মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা যাবে না। দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। জনগণ ফুসেঁ উঠছে। অচিরেই এ সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, সরকার ভিত হয়েই চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনে দক্ষিণ বিএনপির ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও শতাধিক নেতাকর্মীকে সাজানো সাজা প্রদান করেছে। হামলা- মামলা- জেল জুলুম করে বেশিদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা যাবেনা।

যৌথসভায় সঞ্চালক মজনু আরও বলেন বিএনপি গণমানুষের দল। সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গনতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন যাত্রা শুরু হবে অচিরেই। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আরো সুসংগঠিত হওয়ারও আহবান জানান এসময়।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য সাইদুর রহমান মিন্টু (দপ্তরের দায়িত্বে), মকবুল ইসলাম টিপু, এম এ হান্নান, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, এড. আরিফা সুলতানা রুমা, জামসেদুল আলম শ্যামলসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।