কিশোরগঞ্জরে ভৈরবে নানা সমস্যায় হুমকির মুখে কয়লা ব্যবসা। কয়লা মজুদ রাখা, মাল লোড-আনলোড, হয়রানী ও চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন সমস্যায় এ ব্যবসাটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়বে ব্যবসার সাথে জড়িত ৮ হাজার লোক। তাছাড়া বিআইডব্লিউ কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ফুসেঁ উঠেছে ব্যবসায়ীরা। তাই সমস্যা সমাধানে ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ২০০৩ সালে বন্দর নগরী ভৈরবের পুরাতন ফেরীঘাটে গড়ে উঠেছে কয়লা ব্যবসা। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা থেকে জাহাজে করে পুরাতন ফেরীঘাটে নোংর করে কয়লাবাহী জাহাজ। এসব জাহাজ থেকে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখানকার কয়লা সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতিদিন ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকার কয়লা বেচা বিক্রি হয় । সরকার ও মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাচ্ছে। কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় এ পেশায় ৮ হাজার লোক জড়িত রয়েছে।
কিন্তু জাহাজে আসা পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা ডাম্পিং করার জায়গা না থাকায় বিপত্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। শুধু তাই নয় এ ঘাটে ব্যবসা করার জন্য রেলওয়ে মুরিং ঘাট, খেয়া ঘাট, উপজেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউসহ ৪টি সংস্থার কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় নতুন করে বিআইডব্লিউটি অবৈধভাবে ৫০ গজ সীমানাকে ৫শ গজে রুপান্তরিত করে পুনরায় মোটা অংকের টাকা নেয়ার পায়তারা করছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
এছাড়া ঘাটে নোঙর করা জাহাজ থেকে মাল খালাস, ট্রাক হ্যান্ডিলিংয়ে বিআইডব্লিউটি এর উপ-পরিচালক রেজাউল করিম নানাভাবে হয়রানীসহ চাদাঁ দাবি করায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই তার পদত্যাগ দাবি করে কয়লা ব্যবসায়ী মালিক ও শ্রমিক সমিতি মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচী পালন করছে। তাছাড়া ৪টি ঘাটের ইজারা সমন্বিত করে একটি ঘাটে আনার দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ভৈরব কযলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মির্জা সাজ্জাদ জানান, জাহাজ থেকে কয়লা ডাম্পিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং বিআইডব্লিউ কর্মকর্তার হয়রানীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা। তাছাড়া একই ঘাট ৪টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় ৪টি ঘাট ইজারা আনতে ৩০ হাজার টাকার স্থলে ২০ লাখ টাকা দিতে হয়। তাই ৪টি ঘাটকে একি
মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে ইজারা দেয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব-আশুগঞ্জ বন্দর বিআইডব্লিউ উপ-পরিচালক রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৪টি ঘাটকে একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার জন্য ইতিপূর্বে নৌ- পরিবহন মন্ত্রী সাথে একটি সভা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সচিবের সাথে সভা করা হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, ৪টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় ৪টি ঘাট ইজারা রয়েছে বিআইডব্লিউ ২০২০ সাল থেকে ৫০ গজ সীমানাকে ৫শ গজে রুপান্তরিত করায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বিষয়টি সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছি।
বার্তাবাজার/এম আই