‘আর কোন দাবি নাই পদ্মা সেতুর সুফল চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর দুমকি, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা রুটে সরাসরি পরিবহন বাস চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে চার উপজেলার প্রায় পাঁচশত ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ও দুপুর সাড়ে বারোটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
এছাড়াও মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ওবায়দুল কাদের এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নরীর বরাবরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ ওবায়দুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ জালাল আহাম্মেদ। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, বিগত এক বছর আগেও ঢাকা থেকে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা রুটে নিয়মিত প্রায় ৫০ টির মত পরিবহন বাস চলাচল করত। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে রুট পারমিট নেই বলে উপজেলার এসব রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী ও বরিশাল বাস মিনিবাস মালিক সমিতির স্বার্থান্বেষী মহল। দীর্ঘ এক বছর ধরে এসব রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প যানবাহনে যাতায়াতে যাত্রীদের থেকে নেয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া। এমনকি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের কবলে পড়াসহ নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীগন। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ সমস্যার সমাধান না হলে অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা।
চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক এ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, গলাচিপা উপজেলায় যদি বিআরটিসি এবং গ্রীন লাইন পরিবহন চলতে পারে তবে অন্য কোন পরিবহন কেন চলতে পারবে না। আসলে পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও বরিশাল বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতার সেচ্ছা চাড়িতায় পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুমকি, বাউফল, গলাচিপা এবং দশমিনার প্রায় ১৫ লক্ষ জনসাধারণ। তাই অচিরেই যেন এই সমস্যার সমাধান হয় তার জোর দাবি জানান তিনি।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা মালিক সমিতির নেতার সাথে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসব।
বার্তাবাজার/এম আই