শরীয়তপুরের সদর উপজেলার রুদ্রকরে কাভার্ড ভ্যান ও নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে লোকমান শেখ (৪৫) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নছিমনে থাকা আরও ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত লোকমান শেখের দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার আমিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লোকমান শেখ উপজেলার সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হোগলা মাকসাহার এলাকার মৃত আ: মন্নান শেখের ছেলে।

স্থানীয়, স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হোগলা মাকসাহার লোকমান শেখ নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। মঙ্গলবার সকালে লোকমান সহ সাত জন শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে নছিমনে করে হোগলা মাকসাহার থেকে মনোহর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা আমিন বাজার এলাকায় পৌঁছালে ওপর দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের সাথে তাদের নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় নছিমনটি ছিটকে খালে পড়ে যায় এবং লোকমান সড়কে পড়ে গেলে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান। এ সময় উত্তেজিত জনতা গাড়িটিকে ভাঙচুর চালালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত লোকমান শেখের ভাই চাচাতো ভাই মো. হান্নান বলেন, আমার ভাই একাই সংসারটি চালাতেন। তার দুটি বাচ্চা আর স্ত্রী আছে। ভোরবেলা রোজা রেখে কাজে যাওয়ার পথে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহত হয়েছেন। এখন পরিবারটি যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে সরকার থেকে সেই ব্যবস্থা করা হোক। তাছাড়া এই দুর্ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের আমি বিচার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, তারা নছিমনে করে মনোহর বাজারের দিকে কাজে যাচ্ছিলেন। উল্টো পাশ থেকে আসা একটি বড় কাভার্ড ভ্যান নছিমনটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন নিচে পড়ে লোকমান ভাই মারা যান।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ইফতেখাইরুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। বাকি আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।