নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা জানতে পেরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী।

এনিয়ে রবিবার (১০ মার্চ) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (১২মার্চ) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস.এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর
লিখিত অভিযোগে স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া (৩৮) ও শরীফ ইবনে ফয়সাল (মুন)কে তাঁর পরকীয়া প্রেমিক উল্লেখ করা হয়।

মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। শরীফ ইবনে ফয়সাল (মুন) একই উপজেলার ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। সুলতানা রাজিয়া বর্তমানে টেপাখড়িবাড়ী ব্লক কর্মরত। পার্শ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরীফ ইবনে ফয়সাল মুনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া আসক্ত। তাদের উক্ত কাজে বাঁধা প্রদান করলে সে আমার (অভিযোগ কারীর) নামে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে বেড়ায়। ২০১২ সালে তাঁরা পরকীয়ায় আসক্ত হলে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে সংশোধন হওয়ার কথা জানান।

এবিষয়ে শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১২ সাল তাঁরা প্রথম কথাবার্তা প্রথম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে আমার স্ত্রীকে মুন চেয়ারম্যান বিভিন্ন লোভ লালসা দেখাতো। শুটিবাড়ীর সিনেমা হল, রংপুরের বাসাবাড়ী ও তার একটি হাইচ মাইক্রোবাস এ গুলো লিখে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। মূলত একটা মেয়ে মানুষকে নিজের আয়ত্তে আনতে যা যা বলা দরকার তাই বলে মুন চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে আমার স্ত্রী মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া ও গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এরপর থেকে তাকে আমি আমার নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারিনা। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে প্রায়ই আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। পারিবারিক আদালতে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতেছে। আমি একজন স্বামী হিসেবে অসহায়। আমি সুবিচারের আশায় ডিডি মহোদয়কে (জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক) লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।

ডিমলা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া জানান, মুনের সাথে কখনোই কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিলো না। তবে আমার স্বামীর সাথে রাগ করে ফোনে উনার (শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন) সাথে যতোটুকু কথা হয়েছিল। বাস্তবে এর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবৈধ কর্মকাণ্ড করছে আমার স্বামী আর কলঙ্ক দিচ্ছে আমাকে।

গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল (মুন) জানান, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। ভিকটিম কি বলছে সেটা আগে দেখেন। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেন।

লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস.এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।