নিউজের বক্তব্য চাওয়ায় সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণ করেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। তথ্যের প্রয়োজন হলে সরাসরি অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাকে ফোন দিতে বারণ করেন। আলোচিত ওই কর্মকর্তা হলেন, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উদ্দিন।
স্থল শুল্ক গুদামের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার দুপুরে দৈনিক যায়যায়দিনের আখাউড়া প্রতিনিধি হান্নান খাদেম ওই কর্মকর্তাকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি এমন আচরণ করেন।
জানা যায়, আখাউড়া শুল্ক গুদামের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীর্তির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা শহরের এক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক মিয়া। সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তির স্বার্থে গত দেড় বছরের নিলামের তথ্য তদন্ত করার আবেদন করেছেন তিনি।
ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগে বলা হয়, আখাউড়া শুল্ক গুদামে দীর্ঘদিন যাবত সিল টেন্ডার হয় না। সময় মত নিলাম না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার পণ্য গুদামেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ওপেন নিলাম হলেও তা নিয়ম মোতাবেক হয় না। নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারী ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু আখাউড়ায় শুল্ক গুদামের নিলামকৃত পণ্যের মূল্য নগদ টাকায় গ্রহণ করা হয়। ফলে সরকারি কোষাগারে কত টাকা জমা হয় কেউ জানে না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রমান পাওয়া যাবে।
মানিক মিয়া বলেন, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০২৩ সালের ১৫ মে পর্যন্ত আখাউড়া শুল্ক গুদামের নিলামকৃত শীটের ট্রেজারি চালান ও ডেলিভারী মেমো যাচাই করলে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আখাউড়া শুল্ক গুদাম কর্মকতা মোঃ আশরাফ উদ্দিন বিভিন্ন কৌশলে তার পছন্দের ব্যক্তিকে কম দামে মালামাল পাইয়ে দেয়। এতে সরকার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বুধবার দুপুর পৌনে বারোটায় আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং গুদাম কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ৫ মিনিটের মধ্যে অফিসে যেতে বলেন। এত কম সময়ের মধ্যে যাওয়া সম্ভব নয় বলায় তিনি বিকাল ৫টায় যেতে বলে ফোন রেখে দেন। এর কিছুক্ষণ পর গুদাম কর্মকর্তা নিজেই ফোন করে ধমকের স্বরে বলেন ‘আর কখনও ফোন দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আজকের পর থেকে কখনও ফোন দিয়ে কোন তথ্য চাইবেন না। কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে অফিসে এসে কথা বলেন।
বার্তাবাজার/এম আই