শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়ন থেকে গাঁজাসহ দুই আসামিকে থানায় নেওয়ার পথে পুলিশের উপর হামলা করে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. সাগর মাদবর ও তার কর্মী বাহিনী । এঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাজিরা থানায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন জাজিরা এএসআই বেলাল হোসেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন জাজিরা থানার এএসআই বেলাল হোসেন, পুলিশ সদস্য জোহান, সবুজ খান ও ফারুক হোসেন।
 থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমনী বাজারের পূর্ব পাশের বালুর মাঠ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ আরিফ মাদবর (২৮) ও সবুজ মাদবরকে (৩৫) আটক করেন জাজিরা থানার এএসআই বেলাল হোসেন, পুলিশ সদস্য জোহান, সবুজ, ফারুক। পরে আসামিদের সূর্যমনী বাজারে দিকে নিলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. সাগর মাদবর, তার সহযোগী রাজিব মাদবর, রশিদ আকন, রহিম মাদবর, সাথী আক্তারসহ ১৫/২০ জনের একটি দল পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়াও অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সাগর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আমি গোপালপুর বাজার থেকে বলছি। আমি বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। জাজিরা থানার কিছু অসাধু পুলিশের কারণে আমাদের বড় গোপালপুরের মানুষ অতিষ্ঠ। তারা সিভিল ড্রেসে এসে সাধারণ মানুষকে বলে তোরা ইয়াবা ও মাদক বিক্রি করস, এ কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের আটক করে না।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনা জানতে জড়িত যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বড় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটু সরদার বলেন, পুলিশ যাদের আটক করেছিল তারা মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়াটা অন্যায়। যারা এই অন্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, আসামি ছিনেয়ে নেওয়ার ঘটনায় আমাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫/২০ জনকে আসামি করে আমরা একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত।