রোববার পিলখানা হত্যা দিবসে নিহতদের স্মরণে বনানী সামরিক কবরস্থানে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন গণঅধিকার এর সাধারণ সম্পাদক। উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতার মসনদে বসার পরপরই এমন নির্মম ঘটনা ঘটে। আওয়ামীলীগ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারেনা। ঘটনার দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত জাতির কাছে কোনকিছু খোলাসা হয়নি যে, কেন এই নির্মম ঘটনা ঘটলো। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি আসলেও, সেটি এখনো করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
শোনা যায় একটি আধুনিক অস্ত্রধারী গ্রুপ মুখোশ পরে সেখানে ঢোকে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। এই অস্ত্রধারী গ্রুপে কারা ছিলো? কেন এখনো পর্যন্ত তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে সবকিছু খোলাসা করা হচ্ছে না? সবকিছুর মধ্যে জনগণ রহস্যের গন্ধ পায়। এই ঘটনার উদ্দেশ্য ছিলো সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা।
কোন আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতায় এই ঘটনা ঘটেছে কিনা, সেটিরও তদন্ত হওয়া দরকার। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দায় তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির উপর আওয়ামীলীগ দিয়ে থাকে, কিন্তু পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় কেন তারা নেন না? আওয়ামীলীগ এবার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতার নবায়ন করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সঠিক তদন্ত ও বিচার সম্ভবপর নয়। আগামীতে গণতন্ত্রের সরকার ক্ষমতায় আসলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত এবং শহীদ পরিবর্গকে যথাযথভাবে সম্মানিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা হওয়া দরকার। আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারবর্গের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। দেশের জনগণকে বলবো, এই নির্মম ঘটনা আপনারা ভুলে যাবেন না। পিলখানা হত্যা দিবসটি আপনারা স্মরণ করুন। এটি জাতির জন্য একটি শোকের দিন।