মালয়েশিয়ায় এক টুর গাইড নারীকে অন্তত শতাধিক বাংলাদেশী ফোন করে অশালীন ও আপত্তিকর কথাবার্তার মাধ্যমে যৌন হয়রানিমূলক কথা বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর ফোন ব্যাক্তিগত ফোন নাম্বার কেউ একজন ফেইচবুকে আপত্তিকর ক্যাপশন দিয়ে শেয়ার করার কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আজ (৩০ মে) মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষস্থানীয় সকল গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে এই খবর। ঘটনা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কারা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
একই সঙ্গে দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ১ মিলিয়ন সাধারণ প্রবাসীদের জন্য বিব্রতকর একটি উদাহরন হতে পারে এটি।
লি ফুক সুন নামের এক ব্যাক্তির একটি ভিডিওর সূত্র ধরে এমন অস্বস্তিকর ঘটনার অবতারণা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।
ওই নারী ইতোমধ্যে পুলিশ রিপোর্ট করেছেন এবং মালয়েশিয়ান চাইনিজ এসোসিয়েশনেও অভিযোগটি জানিয়েছেন। ফেইসবুক তার ফোন নাম্বার ও ভিডিও শেয়ার করার পর তাকে ফোন করে অশ্লীল প্রস্তাব দিতে থাকেন যার এর জন্য তিনি মোটেই প্রস্তত ছিলেন না। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তিনি কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
সাংবাদ সম্মেলন করে ওই ভোক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে মানষিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। এজন্য তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় ৩য় বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। এশিয়ার ইউরোপ খ্যাতি পাওয়ার পিছনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। মালয়েশিয়ায় চাইনিজ জনগোষ্ঠী উচ্চ শিক্ষিত, মেধাবী, ভদ্র জাতি হিসেবে সম্মানিত। তাদের মধ্যে যৌন হয়রানি, নিজ জাতি গোষ্ঠী ছাড়া অন্যজাতির সাথে বিবাহ সম্পর্ক স্থাপন করেন না।
মালয়েশিয়ায় কল কারখানা, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে চাইনিজরা সবার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে। তাদের যাদুকরি হাতের ছোয়ায় মালয়েশিয়া আজ উন্নত বিশ্বের কাতারে সুনাম অর্জন করছে। শুধু তাই নয় প্রাতিষ্টানিক আদর্শ ও নীতি ১০০ ভাগ মেনে চলে বিধায় চাইনিজদের অধীনেই ৬০ ভাগ বাংলাদেশি কর্মী স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে থাকেন।
বার্তাবাজার/এম আই