পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের পাটিকেল বাড়িতে পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে নিরব মাদক বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের প্রভাবশালি জনৈক কুদ্দুস সিকদারের ছেলে শাকিল শিকদারের নেতৃত্বে মাদকচক্রটি গড়ে উঠেছে।

তিনিসহ তার পালিত বাহীনির ওইসব লোকেরা ছোটখাটো নানান ব্যবসার সাইনবোর্ডের আড়ালে মাদক বেচাকেনা করছেন নির্বিঘ্নে। তারা পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে ইউনিয়নের কলাখালি, শ্রীরামকাঠি, উপজেলার সীমান্ত ঝালকাঠি জেলার হিমানন্দকাঠি, সিমান্ত আটঘর থেকে মাদক বহন করছেন। বহনকৃত ওইসব মাদক খুব সহজেই তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এলাকার যুব সমাজের মধ্যে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাকিল সিকদার। তিনি বলছেন, আমি বিএনপি করি। তাই এলাকার ছেলেপান আমার কাছে আসে। একদল লোক তা দেখে ইস্নানিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি একটু বিড়ি সিগারেট ছাড়া কিছু খাইনা। কে বলছে এসব কথা আমাকে দেখিয়ে দিন। আমি জিজ্ঞেস করি।

জানা যায়, শাকিল সিকদারের পিতা অত্র এলাকার একজন প্রভাবশালি জৈনিক কুদ্দুস সিকদারের ছেলে। শাকিল তার পিতার সাইনবোর্ডে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। শাকিলের নেতৃত্বে গোটা এলাকার বখাটে উঠতি বয়সি বেশ কিছু ছেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি বাহীনি। এ নিয়ে চিন্তিত এলাকার অভিবাভক সমাজ।

তারা করফা, এগারগ্রাম, পাটিকেলবাড়ী, রাজবাড়ী এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে সন্ধ্যা থেকে বিচরন করেন গভীর রাত অবধি। তারা কয়েকটিভাগে ভাগ হয়ে মোটর সাইকেল করে মাদক এনে ছড়িয়ে দেন ওইসব এলাকায়। তাদের মাদকের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রতিবাদ করলেই তাকে হতে হয় শারিরীক মৌখিক লাঞ্চিত। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেনা শাকিল এর কুর্মের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি পাটিকেলবাড়ী ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মিন্টু ফকির নামে এক ব্যক্তি শাকিলের মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। একারণে ওইদিন ইউনিয়নের করফা বাজারে বসে প্রকাশ্য শাকিল তাকে বেদড়ক মারধর করেন। বিষয়টি মিন্টু ফকির পাটিকেলবাড়ী পুলিশকে লিখিত অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন।

মিন্টু ফকির অভিযোগ করেন, শাকিল সিকদার এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে। সে এলাকায় মুরগী খামারের সাইনবোর্ডের আড়ালে মাদক বিক্রি করেন। মাদক বিক্রির পাশাপাশি সে মাজেমধ্যে মাদক সেবন করে পড়ে থাকেন যেখানে সেখানে। তার প্রতিবাদ করে আমি সাংবাদিকদের জানাই। একারনে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেছে। বিষয়টি আমি পাটিকেলবাড়ী পুলিশ ফাড়িতে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে পাটিকেলবাড়ীর ফাড়ির ইনচার্জ মুজিবুর রহমান জানান, শাকিল সিকদার মিন্টু ফকিরকে মারধর করেছে বলে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাহার তদন্ত চলমান। মাদকে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

বার্তাবাজার/এম আই