বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার বিডোর অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে পালিয়ে আসা দুই রোহিঙ্গা ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফজরের নামাজ আদায় করে পেরাকের কাম্পুং বাতু মেলিন্টাংয়ের একটি মসজিদে। এসময় তারা নিজেদের বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে মুসল্লিদের কাছে খাবার পানি চায়।
সিয়াক মসজিদ আল-রহমানিয়ায়, আহমাদ ইশাক মাত ইসা নমের এক মুসল্লি বলেন দুই জেল পালানো রোহিঙ্গা শরনার্থী তারা সকাল ৬ টার দিকে খালি পায়ে মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ পড়েন।
তাদের চলাফেরার অবস্থা দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের ব্যাপারে পুলিশকে কল করে। প্রথমে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করা হলে বলে যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক। মালয় ভাষা জানে না তাই ইশারায় কথা বলেন।
“তবে তাদের ক্ষুধা তৃষ্ণার অবস্থা দেখে আমরা তাদের চার বোতল পানির সাথে দুই প্যাকেট ভাজা নুডুলস দেওয়ার মুহূর্তের মধ্যেই সব খেয়ে পেলে তারা।
এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, রজালি তালিব (৬৯) জানান, প্রাথমিকভাবে ওই দুই অবৈধ অভিবাসী নিজেদের বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।”আমি জানি তারা মিথ্যা বলছে কারণ তাদের মুখ ও আচার আচরণ বাংলাদেশীর মত নয়।
“পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখনই দুজন ব্যক্তি স্বীকার করে যে তারা রোহিঙ্গা জাতিগত বন্দী যারা বিডোরে ইমিগ্রেশন জেল থেকে পালিয়েছিল।
এর আগে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পে থেকে গত বৃহস্পতিবার ১৩১ জন আটক রোহিঙ্গা শরনার্থী পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে জানা গেছে।
পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা, ১৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে।
বার্তা বাজার/জে আই