মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম কে আটকের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেশটির আদালত। সেই সাথে বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালত সেই আদেশ দেওয়ার ৬ দিন পর কাইয়ুমকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্ততি নেওয়া শুরু করে অভিবাসন বিভাগ। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকায়াত মালয়েশিয়া (সুরাম), বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা সুরামের আইনজীবী এন্ড্রু হু বলেন, এম এ কাইয়ুম মালয়েশিয়াতে জাতিসংঘের ইউএনসিএইচআর এর শরনার্থী বিষয়ক কার্ডধারী। আদালত এর নির্দেশনা ফলো করার জন্য অভিবাসন বিভাগের প্রতি আহবান জানান মিস্টার হু, সেই সাথে কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরও সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই আইনজীবী।

তিনি আরো বলেন, এম এ কাইয়ুম দেশীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার এবং তাকে এই মুহুর্তে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার সমূহ ক্ষতির মূখে পড়তে পারেন, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কাইয়ুমকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে এটা হবে দেশে প্রচলিত সামগ্রিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট বিধি লংগন ও অমানবিক কর্ম।

মানবাধিকার গোষ্ঠীটির পরিচালক সেভান ডোরাইসামি অভিবাসন বিভাগকে বলেন, এম এ কাইয়ুমের নির্বাসনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।সুয়ারামের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেছেন যে বিভাগটিকে অবশ্যই কাইয়ুমকে নির্বাসনের যে কোনও পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।

এর আগে বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে অভিবাসন বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশের অভিযানে তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় যে বাংলাদেশে জাপানের এক ত্রাণ কর্মী সিজার তাভেল্লাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এম এম কাইয়ুম। যদিও কাইয়ুম দাবি করেছেন তাকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই