ডামি নির্বাচন ও সংসদ বাতিলের দাবিতে বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন ভাসানী অনুসারি পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু।

বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব।

সমাবেশের শুরুতে বিএনপিসহ যুগবৎ আন্দোলনের বিভিন্ন দলের কালোপতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা দেয়া, বিএনপি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ডক্টর মঈন খানকে আটকের নিন্দা জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ৭ তারিখে কোন নির্বাচন হয় নাই। যা হয়েছে তা মানুষের ভোট কেড়ে নেয়ার আয়োজন। ফলে এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যে সংসদ গঠিত হয়েছে সেটাও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া অবৈধ সংসদ। ফলে এই সংসদ ও সরকার জনগণের জন্য কোন কল্যান বয়ে আনতে পারবে না। বরং যতদিন টিকে থাকবে মানুষের সর্বনাশ বাড়তে থাকবে, বাড়তে থাকবে দমন পীড়ন ও নির্যাতন। আজ ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে যে রাজনৈতিক বিক্ষোভসমূহ দমন ও গ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে সরকার।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই সরকার যতদিন টিকে থাকবে তাদের পোষ্য একচেটিয়াদের লুট ও দুর্নীতি আরো বাড়তে থাকবে। ইতিমধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে লুটের আয়োজন চলছে। ব্যাংকগুলোকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। টাকা ছাপিয়ে লুটের আয়োজন চলছে। একেই সাথে বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট না থাকায় বিদেশী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা দাসত্বের পর্যায়ে পৌছে গেছে। ভরতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যের মৃত্যুতেও তারা জবাবদিহিতা চাইতে পারছেনা। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি দিয়েছে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার।

সামবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। মঞ্চের নেতৃবৃন্দ পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল তোপখানা রোড হয়ে পল্টন মোড়ের সন্নিকটে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ পুলিশের এই বাড়াবাড়ির নিন্দা জানান।

বার্তাবাজার/এম আই