বরযাত্রীকে বরন করার জন্য তৈরি করা হয় তোরণ, বাড়ীর উঠানে প্যান্ডেল করে এক পাশে করা হয় বরের বসার জন্য করা হয় স্টেজ। বাবুর্চীরা ব্যাস্ত রান্নার কাজে। দুপুরে বরসহ অতিথিরা এসে বিয়েতে অংশগ্রহন করবেন। ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে কনে ও বরের গায়ে হলুদের পর্ব। কিন্তু কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পুলিশ এসে পণ্ড করে দিয়েছে বিয়ের সকল আয়োজন।
রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলচিরা ইউনিয়নের ফরাজি গ্রামে।
কনে শিরিন আক্তার প্রমি একই এলাকার মো: আলা উদ্দিনের মেয়ে। শিরিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। বর মো: শরীফ চরকিং ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামের মো: আলা উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রোবার দুপুরে কনের বাড়িতে বিবাহের কথা ছিল। বর যাত্রীসহ প্রায় তিন শতাধিক অতিথিকে নিমন্ত্রন জানানো হয়। ডেকারেশন ভাড়া করে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয় বাড়ীন উঠানে। বাড়ীর দরজায় তৈরি করা হয় বর্ণিল তোরন। হঠাৎ ১১টার সময় পুলিশ এসে সব পান্ড করে দেয়। বরের স্টেজসহ প্যান্ডেলের সব নামিয়ে পেলতে বলে। পুলিশ দেখে প্রথমে কনে বাড়ীর সবাই পালিয়ে গেলেও পরে এসে বিবাহের সকল আয়োজন বন্ধ করবে বলে মুছলেখা দেয়।
নলচিরা ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী জানান, সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কনের বাড়ীতে যান তিনি। এসময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কনের জন্মনিবন্ধন দেখে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মেয়ের বাবা আল উদ্দিন লেখিত ভাবে মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিবাহ দিবেন না বলে অঙ্গিকার করেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু বলেন, সকালে মোবাাইলে বাল্য বিবাহের বিষয়টি প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন। এরপর প্রথমে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে বিয়ের সকল কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বার্তাবাজার/এম আই