সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আদালত থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিচারক। ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বিচারক কপলান বলেছেন, আশা করছি আপনাকে বিচার থেকে বাদ দেওয়ার কথা আমাকে ভাবতে হবে না। তবে আমি বুঝতে পারছি আপনি সম্ভবত আমাকে দিয়ে এটিই করাতে আগ্রহী।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জবাবে বলেন, আমি তা উপভোগ করব।

বিচারক কাপলান চেঁচিয়ে উঠে বলেন, আমি বুঝতে পারছি আপনি সম্ভবত আমাকে দিয়ে এমনটি করাতে বেশ উৎসুক। কেননা এ পরিস্থিতিতে নিজেকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তার বিরুদ্ধে ই-জেন ক্যারলের করা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার চলাকালীন বিচারক এমন হুমকি দিয়েছেন।

ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯০-এর দশকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনার পর তার খ্যাতি ‘নষ্ট’ হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়- মানহানি মামলার বিচারকার্যের দ্বিতীয় দিনে বিচারক ও ট্রাম্পের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। একপর্যায়ে ট্রাম্পকে আদালত থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন বিচারক। কেননা ট্রাম্প ক্যারলের সাক্ষ্যের সমালোচনা করেছেন বিচারকের কাছে এমন একটি অভিযোগ ছিল।

ক্যারলের এক আইনজীবী ট্রাম্পকে তার মামলাটিকে ‘উইচ হান্ট’ বলতে শোনেন। এ বিষয়টি তিনি বিচারককে জানিয়েছিলেন।

বিচার চলকালীন একরাশ হতাশা নিয়ে ট্রাম্পের বিষয়ে বিচারক কাপলান বলেন, ট্রাম্পের এখানে উপস্থিত থাকার অধিকার আছে। তবে সেই অধিকার বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। এটি তখনই বাজেয়প্ত করা যেতে পারে যখন তা ব্যাঘাতমূলক বলে প্রমাণিত হয় এবং তিনি যদি আদালতের আদেশ অমান্য করেন। আমার কাছে সেই বিষয়ে একটি রিপোর্ট করা হয়েছে।

গত বছর একটি জুরি ক্যারলকে যৌন নিপীড়নের জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যৌন নির্যাতন এবং মানহানির জন্য দায়ী করা হয়েছিল। তবে সেটি ধর্ষণের অভিযোগ নয়।

২০১৯ সালে ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন, কয়েক দশক আগে ম্যানহাটনের বিলাসবহুল বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মধ্যে সুযোগ পেয়েই ট্রাম্প তার ওপর জোর খাটিয়েছিলেন।

সেই বিচারটি ট্রাম্পের ২০২২ সালের মন্তব্যের জেরে করা হয়েছিল। পরে ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্যারলের গল্পটি একটি ‘মিথ্যা’ এবং একটি ‘প্রতারণা’ ছিল।

বর্তমান মামলাটিও ট্রাম্পের করা বিভিন্ন মন্তব্যের ওপর আলোকপাত করেছে। সেগুলোকে ইতোমধ্যেই মানহানিকর বলে রায় দিয়েছেন বিচারক। সেসব মন্তব্য প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৯ সালে করেছিলেন ট্রাম্প। তখন ক্যারলের অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় এ বিচারকার্যও অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করবে।

বার্তা বাজার/জে আই