এখন অফ সিজনে বিদেশে খেলতে যাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মোহাম্মদ আশরাফুল ও এনামুল হক জুনিয়রদের পেছনে লাইন বড় হয়ে বিস্তৃত হচ্ছে ইংল্যান্ডজুড়ে। বিলেতের ক্রিকেটের বাজারে জায়গা করে নেওয়া শামসুর রহমানরা সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও যাচ্ছেন খেলার জন্য। খেলা, ভ্রমণ, ছুটি– সব মিলিয়ে জুনায়েদ সিদ্ধিকীদের অফ সিজন প্রবাসে ভালোই কাটে।

দেশের ক্রিকেটের মতো সম্মানী না পেলেও বিলেতে খেলে খুশি তাঁরা। বছরের এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডের স্থানীয় লিগে খেলেন তাঁরা। ইমরুল খেলেন প্রিমিয়ার লিগ ডিভিশন ওয়ানে। সাব্বির রহমান, শামসুর রহমান, জহুরুল ইসলাম অমি, জুনায়েদ সিদ্দিকী, এনামুল হক জুনিয়র ডিভিশন টুতে। ইংল্যান্ডের ডিস্ট্রিক্টগুলোর ক্লাব ক্রিকেটের শীর্ষ লিগকে বলা হয় প্রিমিয়ার লিগ।

একজন বিদেশির সঙ্গে দু’জন পেশাদার ক্রিকেটার খেলানোর সুযোগ রেখেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। কাউন্টি বা মাইনর কাউন্টির নিচের ধাপ এটি। মূলত ৫০ ও ১০০ ওভারে ম্যাচ খেলা হয় প্রিমিয়ার লিগে। সপ্তান্তের খেলা, অপেশাদার লিগ। বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটারদের ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের এই অপেশাদার লিগে খেলতে যাওয়ার কারণ জানালেন ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন খেলা নেই। অফ সিজনে প্র্যাকটিসেরও সুযোগ থাকে না। এ কারণে ইংল্যান্ডে প্রিমিয়ার লিগে এপিং ক্রিকেট ক্লাবে খেলি। ঢাকা লিগের মতো না হলেও ভালো একটা সম্মানী পাই। গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, খেলার ভেতরে থেকে উপার্জন করতে পারছি। পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছি। অথচ এ সময়ে দেশে থাকলে কিছু করা হতো না। অনুশীলন করতে না পেরে মন খারাপ হতো।’

এদিকে প্রবাসে ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে পাকাপাকি বসবাসের পথঘাট চিনে নিতে পারছেন অনেকেই। জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র ( খেলছেন মাইটি টাইগার্স) গত বছর থেকে পরিবার নিয়ে পাকাপাকি থাকছেন ইংল্যান্ডে। কোচিং করাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হয়েছেন আফতাব আহমেদ। নাসির হোসেনও যুক্তরাষ্ট্রে ঘরবসতি গড়তে চলেছেন।

ঢাকার ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত খেলেন পেসার আবুল হোসেন রাজু। ক্যারিয়ারের পড়ন্তের দিকে থাকা ঢাকার অনেক ক্রিকেটারই ছুটছেন ইংল্যান্ড-আমেরিকায়। এদিকে এনামুলের মতে, ‘তরুণ ক্রিকেটাররা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে এলে বাংলাদেশের জন্য লাভ হতো। একা একা চলার এবং থাকার দক্ষতা বাড়ত। এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সামাজিক হতে সাহায্য করে। ইংলিশ বলা শিখে যেত। মৌসুমের প্রথম দুই মাস তো খুব ঠান্ডা থাকে, বল সুইং করে। ব্যাটারদের জন্য শেখার উপযুক্ত জায়গা ইংল্যান্ড।’

বার্তাবাজার/এম আই