জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলবো, তবে ধূমপান ও মাদকমুক্ত না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউন জমজম কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় ‘এক পাবনা, এক ভাবনা’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ‘আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘উত্তরা পাবনা সোসাইটি’।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের এক নম্বর পদটি তার সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের উপহার হিসেবে পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যিনি যে পদের উপযুক্ত তাকে খুঁজে খুঁজে সে চেয়ারে আসীন করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, বিপদে-আপদে অপরের পাশে দাঁড়ানো ও অনেক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেরাই উদ্যোগী হওয়ার ফলে সরকারের বা অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি নির্ভর হতে হয় না। আর জাতীয় উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব সময় ভাবেন। জাতির পিতার দর্শন বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই কেবল জনগণের সব প্রত্যাশা বাস্তবায়নের সুযোগ থাকবে।
শামসুল হক বলেন, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলবো, তবে ধূমপান ও মাদকমুক্ত না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মানে আজকের দোয়া মাহফিলে আমরা শপথ গ্রহণ করি যে, ‘আমরা আর ধূমপান করবোনা ও মাদক থেকে দূরে থাকবো’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষে ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
উত্তরা পাবনা সোসাইটির সভাপতি ড. আমিন উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে ও ডেপুটি স্পিকারের সহকারী একান্ত সচিব আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ড. মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব ও চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূরজাহান খাতুন ও ডিআইজি মোজাম্মেল হক। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও সাবেক সচিব সেলিম রেজাসহ পাবনার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বাজার/জে আই