মাদারীপুরের রাজৈরে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বিবাদমান জমির একাধিক স্থাপনাসহ সরকারি দুটি টল ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে পৌর মেয়র নাজমা রশীদ। সেই জায়গার উপর এখন অবৈধভাবে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করারও পায়তারা করছেন তিনি। এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মিজবাউল ইসলাম বাবু হাওলাদার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার পিতা মাইনুদ্দিন হাওলাদারের মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে ৫০ নং নশিপুর মৌজার সাবেক ৩৫২ দাগের ১ একর ২৫ শতাংশ জমিটির মালিক হন তারা। পরবর্তীতে জমিটি ৩৫২ থেকে ভেঙে ১৩/১৪ টি দাগে বিভক্ত হয়। সেই জমি থেকে ৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেন তার বড় ভাই মহিউদ্দিন হাওলাদার (মনি) এবং ১৯৮৬ সালে অনুরোধ সাপেক্ষে কিছু অংশ নিয়ে সরকারি ভাবে মাছ ও মাংস বাজারের দুটি টল ঘর নির্মাণ করেন ততকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুর রশীদ। সেই দাগের বাকি জমিটি এক কালো শক্তির ইশারায় খাস খতিয়ানে চলে যায়।

পরে ২০১২ সালে সরকার ঘোষণা দিলে জমি ফিরে পেতে মামলা দায়ের করেন তারা। সেই মামলা এখনো চলমান রয়েছে। খাস জমি হিসেবে সেই জমি লিজ নিতে পায়তারা করে পৌরসভা। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি আবেদনও করা হয় ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর। ভূমি মন্ত্রণালয় হতে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট থেকে লিজ নিতে বলা হয়। কিন্তু লিজ না নিয়েই বিবাদমান সেই জমিতে থাকা একাধিক স্থাপনা ও দুটি সরকারি টলঘর টেন্ডার ছাড়াই ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।

পরে জেলা প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাহায্যে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করে নিজ বানিজ্য চালানোর চেষ্টা করছে পৌর মেয়র নাজমা রশিদ। এসময় সরকারসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করে ভুক্তভোগী বলেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন জেলা প্রশাসন জমিটি লিজ না দেয়। আর লিজ না নিয়েই সেখানে যেন অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ না করে পৌরসভা।

বার্তা বাজার/জে আই