কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে আনন্দ র‍্যালির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন শুরু হয়।

র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে এসে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফিরে দেখেন বিধ্বস্ত একটি দেশ। এটিকে পূনর্গঠনে মনোযোগ দেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জয় আমাদের জন্য মাইলফলক হিসেবে দাড়িয়ে গেল। এখন অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিত্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন।

বাংলাদেশ যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে, তেমনি এখানে আমরা যারা আছি তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন যে অবস্থানে এসেছে সেটি মানুষ মূল্যায়ন ও অনুকরণ করে। আমাদের অর্জন এবং যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো অন্যরা অনুসরন করে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সরকারের জয়ের ফলে আমরা এখন আরো সহযোগিতা পাবো এবং এগিয়ে যেতে পারবো। আমি সবাইকে সাথে করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই যাতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির কোন স্থান নেই। আপনারা দেখেছেন আমরা শিক্ষা, গবেষণায় এগিয়ে যেতে কাজ করছি, সেটির প্রমাণ আপনারা বিভিন্ন র‍্যাংকিং এ দেখতে পারছেন। এক্ষেত্রে আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আমাদেরকে গবেষণার নীতি নৈতিকতা মেনে কাজ করতে হবে, মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশনার প্রতি জোর দিতে হবে। পাশাপাশি গবেষণা পত্রগুলো ইমফ্যাক্টফুল জার্নালে প্রকাশ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্টেকহোল্ডার। তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে, তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। আমাদের সকলকে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টরসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বার্তা বাজার/জে আই