আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের সকলের সার্বিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক চর্চা শক্তিশালী হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নুরুল আলম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (জেইউডিএস) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ‘বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক শিরোনামে অনুষ্ঠিত সম্পূরক আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি আসার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ সমাধানে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, দীর্ঘ ৮ বছর পর আমি এই বছর ২৫ শে ফেব্রুয়ারিতে ৬ষ্ঠ সমাবর্তনের আয়োজনকে সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আমি শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি গণরুম সংস্কৃতির বিলুপ্তি ঘটবে।এ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি যেমন আছে, শিক্ষক রাজনীতিও আছে। রাজনীতির ধারা বহুদিন ধরে চলছে। শিক্ষকদেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। তবে ক্লাস ক্যান্সেলেরও অপসংস্কৃতি আছে। অনেক শিক্ষকরাই কম ক্লাস নেন। প্রভাষক থেকে সহকারী—সহযোগী হলেই তারা কম ক্লাস নেন। অধ্যাপক হয়ে গেলে একেবারেই আসেনই না। শিক্ষকরা এ স্বাধীনতাকে মনে করেন স্বেচ্ছাচারিতা। আমাদের কর্মসংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক বশির আহমেদ, ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান, জাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমদ রেজা, সেভ দ্য চিলড্রেনের হেড অব মিডিয়া নুসরাত আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো অংশ নেন৷

বার্তা বাজার/জে আই