মাদারীপুরের রাজৈরে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল ভোটার শূন্য। হাড্ডাহাড্ডি প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি বেশিরভাগ ভোটাররা। কিন্তু ব্যালট বাক্সে পড়েছে ভরপুর ভোট। এ নিয়ে নানান অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীনদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না জনগণ।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি খুব কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের দীর্ঘতম কোন লাইন না দেখা গেলেও ভরপুর ভোট পড়ে ব্যালট বাক্সে।

সরজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা পড়ে আছে ভোট কেন্দ্রগুলো। সামনে ভোটারদের কোন সারি নেই। দীর্ঘ সময় পর একেকজন করে আসছেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে ভোটার উপস্থিতির থেকে ভোট পড়ে দ্বিগুণ। এদিকে ফাঁকা মাঠে পাহাড়া দিচ্ছেন পুলিশ, আনসার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

নাম না প্রকাশের সর্তে একাধিক ভোটার জানান, ভোট দিতে না গেলেও এমনিতেই ভোট হয়ে যায়। তাই কস্ট করে ভোট দিতে যাননি তারা। এছাড়া শাজাহান খানের বিরুদ্ধে শক্ত কোন প্রার্থীও নেই, তাই ভোট উৎসবের আমেজ হারিয়েছেন ভোটাররা। সারাদিনে কেন্দ্রে গিয়ে ৩-৪ শত লোকের মতো ভোট দিয়েছে। কিন্তু কাস্ট হয়েছে তার তিনগুন বেশী।

কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসারের তথ্যমতে, আমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৭১৬ ভোটের মধ্যে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫৫০ ভোট, আমগ্রাম দঃপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫৫০ ভোটের মধ্যে ১২ টা পর্যন্ত ৭৫০ ভোট, লখোন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩১০ ভোটের মধ্যে ১২টা পর্যন্ত ৯১৬ ভোট ও বদরপাশা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ২৮৮৩ ভোটের মধ্যে ৬১৪ ভোট কাস্ট হয়।

উল্লেখ্য, রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান (নৌকা), জাতীয় পার্টির একেএম নুরুজ্জামান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন (একতারা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সুবল চন্দ্র (ডাব)।

মোট ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৪ শত ৮০ জন ভোটারের মধ্যে ২ লক্ষ ৯ শত ১৮ পুরুষ, ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪ শত ৫৬ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

বার্তা বাজার/জে আই